Welcome!!

প্রত্যেক মানুষেরই কিছু ভালো লাগা বা ইচ্ছা থাকে যা নিয়ে তৈরি হয় তার স্বপ্ন বা এগিয়ে যাওয়ার বাসনা। খুব ছোটবেলায় অনেক কিছু না বুঝলেও একসময় বুঝতে শুরু করলাম মেয়েরা কতটা অসহায়। কতটা পিছিয়ে যায় শুধু অবহেলার জন্য ।লেখাপড়া করতেই হবে, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই লড়াই করতে হয়েছে প্রতিটা পদক্ষেপেই। পরিণত হওয়ার পাশাপাশি দাঁড়াতে ইচ্ছে হয়েছে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে। দেখতাম আমার সামান্য সহযোগিতাই এই মানুষগুলোকে উদ্ভাসিত করেছে, এনে দিয়েছে শক্তি। তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই ‘দুস্থ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা’ (২০০৪/২০০৫ ইং) নামে একটি এন.জি.ও নিবন্ধন করি। তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কাজ শুরু করার আগেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়, নানা প্রতিকূলতায় পিছিয়ে যেতে হয়, কিন্তু নতুন পথ খোঁজার প্রয়াশ চলছিল অবিরাম। জীবনের অনেকটা পথ পার হয়ে যায় এরপর।

২০১৮ সালে আবার সুযোগ আসে নতুন কিছু শুরু করার এই মানুষগুলোর জন্য। চিন্তা করতে হয় ভিন্ন ধারায়। কিভাবে, কোথা থেকে শুরু করা যায়। একসময় কিছু বাল্য স্মৃতি আমাকে প্রেরণা যোগায় ‘নানাবাড়ি’ এলাকায় কিছু করার কারণ এখানে আমার লোক পরিচিতি আছে। আর ওই যে বললাম বাল্য স্মৃতি; সেটা একটু বলি সবার বুঝার সুবিধার্থে। ’নানাবাড়ি’র নাম ছিল ‘মন্ডল বাড়ি’। তাদের এতই নামডাক ছিল যে, এখনও দূর দূরান্তের মানুষ এই নামেই বাড়িটা চিনে নেয়। সেই বাড়ির বাহিরে একটি ‘অতিথিশালা’ ছিল। ছোটবেলায় দেখতাম, সন্ধ্যায় বড়ির কর্মসহকারিরা ‘অতিথিশালায়’ কতজন লোক আশ্রয় নিয়েছেন তা বাড়ির ভিতরে জানিয়ে দিত কারণ বড়ির ভেতর থেকেই তাদের খাবার পাঠানো হতো। পুরো বাড়ি সবসময় লোকজন ভরপুর থাকতো। আমরা ছিলাম  ওই বিরাট বড়ির যত ফলগাছ আছে সেগুলো থেকে ইচ্ছামত ফল খাওয়া ও খেলাধুলা নিয়ে। বড়িটা এতবড় ( ৫২ বিঘা, মায়ের কাছ থেকে শোনা) যে, আমাদের কখনও মনেই আসেনি অন্য কারো বাড়িতে খেলার কথা। ২০/২৫ জন ভাইবোনের (কাজিনদের) একটা বিশাল দল । কে, কোথায়, কখন, কোন মামার বড়িতে খাওয়া, ঘুম কোন ঠিক ছিলনা, শুধুই আনন্দ আর আনন্দ।

আজ সেই বাড়িটি জনশুণ্য। হারিয়েছে তার জৌলুশ ও আপনজন। আমি আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সাথে, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে একটি ’অতিথিশালা’ (বৃদ্ধাশ্রম) করতে চাই আর পিছিয়ে থাকা নারীদের জন্য তাদের শক্তি হয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই। আপনাদের সহযোগিতাই আমার পাথেয়।

১) নারী কর্মসংস্থান তৈরি করা।

২) নারী উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীণে স্বল্প শিক্ষিত নারীদের প্রশিক্ষিত করে তাদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করা

৩) তাদের স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা করা।

৪) অসহায় নারীদের আশ্রয় ও সেবা নিশ্চিত করা।

৫) বয়ঃসন্ধির সময় মেয়েদেরকে স্বাস্থ্যসচেতন করে তোলা ও নানান বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। ৬) উচ্চশিক্ষায় ইচ্ছুক মেয়েদের সহযোগিতা করা।

৭) বাল্য বিবাহ বন্ধ করা।

৮) ছোট শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করা।

৯) পুষ্টি চাহিদা পূরণে বাড়ি বাড়ি ফলজ গাছ রোপন করা।

আমি বিশ্বাস করি সৎভাবে চেষ্টা করলে আল্লাহতায়ালা আমাদের পাশে থাকবেন এবং সফলতা অনিবার্য।

নিবেদক

মোসাঃ আইনুন নাহার

সভাপতি

নারী উন্নয়ন ও আশ্রয় সংস্থা।